বিভাগীয় সরকারি গণগ্রন্থাগার, রাজশাহীতে ৭ মার্চ দিবস ২০২১ উপদযাপন
বিস্তারিত
আজ ঐতিহাসিক ‘৭ মার্চ দিবস ‘ ২০২১ প্রথমবারের মতো উদযাপন উপলক্ষে বিভাগীয় সরকারি গণগ্রন্থাগার, রাজশাহী কর্তৃক দিবসটির নেপথ্যের অন্যতম নায়ক ও বিশ্বরাজনৈতিক অঙ্গণে আলোচিত নেতা, বাঙ্গালি জাতির গর্ব, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুৃ শেখ মুজিবুর রহমান এর প্রতিকৃতিতে সশ্রদ্ধচিত্তে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়।
উল্লেখ্য ইউনেস্কো কর্তৃক ‘৭ মার্চ ভাষণকে’ ‘মেমোরি অব দ্যা ওয়ার্ল্ড রেজিস্টারে অন্তর্ভূক্ত করে গত ৩০ অক্টোবর ২০১৭ সালে। আরো উল্লেখ্য বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহাসিক দলিল সংরক্ষণের জন্য ইউনেস্কো ১৯৯২ সাল থেকে এ উদ্যোগ চালু করে। বিশ্বের আরো্ ৪ জন রাজনৈতিক নেতার বক্তব্য এই‘মেমোরি অব দ্যা ওয়ার্ল্ড রেজিস্টারে অন্তর্ভূক্ত হয়েছে। তাঁরা হলেন আব্রাহাম লিংকন-১৮৬৩ সনে প্রদত্ত বর্নবাদ বিরোধী ঐক্যের ডাক দেয়া গেটিসবার্গ বক্তৃতা, উইনস্টিন চার্চিলের ১৯৪০ সনের বক্তব্য We shall fight on the beaches, মার্টিন লুথার কিং জুনিয়র কর্তৃক প্রদত্ত ১৯৬৩ সালের বর্ণবৈষম্য বিরোধী বক্তব্য `I have a dream' ইত্যাদি। বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চ ভাষণ হচ্ছে পঞ্চম একক বক্তৃতার স্বীকৃতি
সবচাইতে অবাক করার বিষয় হলো অন্য ৪ জন বিশ্বনেতার বক্তব্য থেকে বঙ্গবন্ধুর দেয়া ভাষণের বিশেষত্ব হলো তাঁরা সবাই হয় পূর্বপ্রস্তুতি বা লিখে বক্তব্য প্রদান করেছিলেন আর আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কোন প্রকারের পূর্বপ্রস্তুতি বা লিখিত কোন স্ক্রীপ্ট ছাড়াই ৭ মার্চের ভাষণ প্রদান করেন। এছাড়াও বঙ্গবন্ধুর এই ৭ মার্চ ভাষণের কারণে একটি দেশের জন্ম হয়।
আমাদের গর্ব যে বঙ্গবন্ধুর এই ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ শুনে অনেক সাংবাদিক ও গবেষক বঙ্গবন্ধুকে রাজনীতির কবি হিসেবে অভিহিত করেছেন। দলমত নির্বিশেষে আমরা সকলে বঙ্গবন্ধুর এই ঐতিহাসিক ৭ মার্চ বক্তব্যর গুরুত্ব অনুধাবন করে দেশ গঠনে আরো বলিষ্ঠ ভুমিকা রাখবো সেই কামনা করি। জীবন-মৃত্যূর সন্ধিক্ষণে এমন রক্তসঞ্চারী বক্তব্য প্রদান করা নেতার সংখ্য বিশ্বে বিরল। ইউনেস্কো কর্তৃক এই বিরল বক্তব্যর স্বীকৃতি আমাদের জন্য যেমন গর্বের তেমনি আনন্দের।