বিভাগীয় সরকারি গণগ্রন্থাগার, রাজশাহীতে ১৪ অক্টোবর, ২০২১ শেখ রাসেল দিবস উদযাপিত
বিস্তারিত
বিভাগীয় সরকারি গণগ্রন্থাগার, রাজশাহীর শিশু পাঠকক্ষের একটি শেলফকে শিশুদের পাঠ উপযোগী ও আকর্ষণীয় মোড়কের কিছু পুস্তক দিয়ে তৈরী করা হলো ‘শেখ রাসেল কর্নার’। আজ ১৮ অক্টোবর ২০২১ প্রথমবারের মতো শেখ রাসেল দিবস উদযাপন উপলক্ষে এ কর্নারটি আগত শিশু পাঠক ও তাঁদের অভিভাবক এবং অত্র দপ্তরের কর্মচারীদের উপস্থিতিতে উদ্বোধন করা হয়। বিভাগীয় ও জেলা প্রশাসন রাজশাহী এর উদ্যোগে জেলা শিল্পকলা একাডেমি, রাজশাহী প্রাঙ্গণে দিবসটিকে কেন্দ্র করে শেখ রাসেলের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ, বিশেষ আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠ সন্তান শেখ রাসেল ১৯৬৪ সালের ১৮ অক্টোবর জন্ম গ্রহণ করেন। অবুজ এ বালককে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট রাতে নির্মমভাবে ঘাতকের বুলেটে শহীদ হতে হয়েছিলো। বেঁচে থাকলে আজ হতো তাঁর ৫৮তম জন্মদিবস। কতটা কৃতঘ্ন হলে স্বপ্নদ্রষ্টার ও স্বাধীনতার রুপকারের সন্তানকে এভাবে হত্যা করা সম্ভব! কতটা নীচ হলে এমন হীন্য পরিকল্পনা করা যায়? সৃষ্টিকর্তা শেখ রাসেলের বিদেহী আত্মাকে জান্নাত দান করুক। চলুন আমরা স্বাধীন দেশটিকে এমন একটা বাংলাদেশে রুপান্তরিত করি যেন আমাদের আর কারো সন্তানকে এমন ঘৃণ্য ও বর্বর মৃত্যুর মুখোমুখি না হতে হয়। ১৫ আগস্টের সকল শহীদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানাই। ১৫ আগস্টের সকল শহীদকে সৃষ্টিকর্তা জান্নাত দান করুক।
১০ বছরের শেখ রাসেলের ক্ষুদ্র জীবনের সব চাক্ষুস স্মৃতি নিয়ে স্মৃতিচারণ করে আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একটি বই লিখেছেন, ‘আমাদের ছোট রাসেল সোনা’ নামে। বইটি প্রকাশ পেয়েছে ২০১৯ সালে শিশু একাডেমি থেকে। বইটিতে শেখ রাসেলের ১০ বছরের জীবনের উল্লেখযোগ্য ঘটনাগুলোকে গল্প আকারে নিজ হাতে লিখেছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। একজন দেশ মাতৃকার তরে নিবেদিত প্রাণ, বাংলাদেশের অবিসংবাদিত নেতা, বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টা ও নির্মাতার কনিষ্ঠ সন্তান কিভাবে, কেমনভাবে বেড়ে উঠার আগেই নিঃশেষ হয়েগেলেন, সেই সব নিদারুণ কন্টে উঠে এসেছে বইটিতে।